সার্টিফিকেট। বাংলায় যার অর্থ সনদ বা প্রমাণপত্র। এ শব্দটি বেশি প্রয়োগ হয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ক্ষেত্রে। শিক্ষাজীবনের ধাপে ধাপে ভালো মানের সনদ অর্জন করাও অনেকটা সোনার হরিণের মতো বিষয়। আর এখনকার পিএসসি, জেএসসি ছাড়াও মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়া শিক্ষাজীবনের বড় অধ্যায়। তবে কোনো শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে পড়া ছাড়াই সার্টিফিকেট যোগাড় করা সম্ভব? তাও আবার ১০ মিনিটে!
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে গোপন সংবাদেরভিত্তিতে হাটহাজারী থানার অদূরে আল মোস্তফা মার্কেটে ‘সততা প্রোডাক্টস এন্ড প্রিন্টার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়েছে এমন একটি চক্র।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক নজরুল ইসলাম (৪৫) ও কম্পিউটার অপারেটর মো. ফহিম (২০) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি এসব কাজে ব্যবহ্নত কম্পিউটার জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী ইউএনও।
তিনি আরও বলেন, সাধারণভাবে দেখলে বোঝারই উপায় নেই, এগুলো জাল। প্রতিষ্ঠানটিতে যেকোনো শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট কিংবা মার্কশিট অথবা যেকোনো সনদ (জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা, কাবিননামা, ড্রাইভিং লাইসেন্স) মাত্র ১০ মিনিটে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।