সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় র্যা বের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাতদলের তিন সদস্যের মধ্যে দুইজনের পরিচয় মিলেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থানায় এসে নিহতের কাপড় ও ছবি দেখে তাদের পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
আটদিন পর দুই ডাকাতের পরিচয় নিশ্চিত হলেও বন্দুকযুদ্ধে নিহত অপর একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার সময় র্যা বের বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। পরিচয় সনাক্ত হওয়া দুইজনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতি মামলায় আটক হয়ে জেলে ছিলেন তারা। ২৩ অক্টোবর জামিনে বের হওয়ার পর ২৮ অক্টোবর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে শুনতে পাই র্যা বের বন্দুকযুদ্ধে তারা মারা গেছে।
সনাক্ত করা দুইজন হলেন, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ইয়াছিন (২৩) ও মোহাম্মদ শুক্কুর (১৯)। দেলোয়ারের বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট থানা এলাকা হলেও বর্তমানে মা-বাবা নিয়ে বসবাস করেন চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার নিউ শহীদ লেন, বিহারী কলোনী, (রওশন শাহ মাজার সংলগ্ন মহসিনের বাড়ি) এলাকায়। তার বাবার নাম মহসিন ও মা রোকেয়া বেগম। তাকে সনাক্ত করেন তার খালাত ভাই মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। আর শুক্কুরকে সনাক্ত করেন তার মা নুরজাহান বেগম। শুক্কুরের বাড়ি ঝালকাটি জেলার পারকিবিতনগর থানা এলাকায়। বর্তমানে বসবাস করেন চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ বাদল।
নিহত দেলোয়ার হোসেনের খালাত ভাই মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা আটক হয়ে জেল হাজতে ছিলেন দেলোয়ার ও শুক্কুর। তারা দুইজন একত্রে চলাফেরা করত। ২৩ অক্টোবর তারা জামিনে জেলে থেকে বের হয়ে আসে। ২৮ অক্টোবর তারা বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড থানায় গিয়ে তাদের ব্যবহৃত কাপড় ও ছবি দেখে তাদের সনাক্ত করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা জয়নিউজকে বলেন, ২৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় র্যা বের বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত মারা যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে র্যা বের টহলদল। মঙ্গলবার নিহত তিনজনের মধ্যে মধ্যে দুইজনের পরিচয় মিলেছে। শুক্কুরকে তার মা ও দেলোয়ারকে তার খালাত ভাই ছবি ও কাপড় দেখে সনাক্ত করেন।