নিজেকে পরিবহন পরিবারের একজন পরিচয় দিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, যদি আমরা সবাই মিলে নিয়ম মেনে চলি তাহলে নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের ভয়ের কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরের হালিশহরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্যে গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক ও সূধীজনদের সঙ্গে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডিআইজি বলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ আইনে একটি মামলাও আমরা দিইনি। এর কারণ হচ্ছে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরত্ব দিচ্ছি। আইন বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ড্রাইভার এবং মালিকদের সচেতন করছি। কারণ সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এ আইনের অপব্যবহার হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই সভার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জানানো। আইন মেনে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা। আপনারা সবাই আইন জেনে, মেনে চললে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আসবেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্ত:জেলা মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী জাফর আহম্মেদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রাইমোভার সমিতির সভাপতি মাইন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক শ্রমিক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান, বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোমাম্মদ শাহ্, উত্তর জেলা শ্রমিক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জহুর আহম্মেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির মহাসচিব আবু মোজাফফর ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।