ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল‘ উপকূলের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা বন্দরকে ৪নং (চার) বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৬০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।
প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বুলবুলের প্রভাবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে যেসব পর্যটক সেন্টমার্টিন চলে গেছেন তারা এখনই ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদেরকে সেখানকার হোটেলে অবস্থান করতে হবে। এছাড়া সন্দ্বীপগামী শত শত মানুষ ঘাটে এসেও ফিরে যাচ্ছেন।
আটকেপড়া পর্যটকরা দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে সেন্টমার্টিন পুলিশ।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে। এর প্রভাবে খুলনায় সকাল থেকেই রোদের দেখা পাওয়া যায়নি। সেখানে আকাশে কালো মেঘ জমে আছে। তবে কোনো বাতাস নেই, নেই বৃষ্টিও।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজই বাতাসসহ বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।