বাসের মাঝখানের আসনে বড় চামচের আঁটি নিয়ে বসে আছেন তারা। চামচগুলোর কোনটি দিয়ে বড় পাতিলে ভাত নাড়া হয়। কোনটি দিয়ে নাড়ানো হয় মাংস কিংবা অন্য কোন কিছু। যাদের হাতে এই চামচ তারা ভান ধরেছেন বাবুর্চির। তাদের ধারণা ছিল, কে জানবে এই চামচের হাতলের ভেতর ইয়াবা আছে! কিন্তু তাদের এতো অভিনয়ের কিছুই শেষে কাজে আসেনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের চুলচেরা তল্লাশিতে চামচের হাতল থেকে বেড়িয়ে এলো ইয়াবা। একটি দুটি ইয়াবা নয়, অভিনব এই কৌশলে ৬৮০০ ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল তারা দুই জন। শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ চঞ্চল (৩২) ও মোঃ আসমাউল (৩২)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম মেট্রো উপ অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, দুই মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা পরিবহণের জন্য বাবুর্চি সেজেছিলেন। তারা ভেবেছিল এ কৌশলের কাছে আমরা হেরে যাব। চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা নিয়ে তারা পৌঁছে যাবে গন্তব্যে। আমরা যখন তাদের জিজ্ঞেস করি, কি করেন। উত্তরে জানালো, আমরা বাবুর্চি। আমরা তাদের কথা বিশ্বাস করেছিলাম প্রথমে। পরে সন্দেহ হলে, চুলচেরা তল্লাশি শুরু করি। বড় বড় চামচগুলোর হাতল ছিল বিশেষ পাইপ দিয়ে তৈরী। এ চামচের পাইপের হাতলের ভেতর ভাঁজে ভাঁজে গুঁজে রাখা হয়েছিল ইয়াবা। গুণে দেখি ৬ হাজার ৮০০ পিস।
তিনি আরও জানান, মূলত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা স্টেশন রোড এলাকায় বিভিন্ন বাসে তল্লাশি চালাই। সৌদিয়া প্রিন্স পরিবহনের একটি বাসে অভিযানের সময় এ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে সক্ষম হই। অভিনব পন্থায় লুকানো ইয়াবাগুলো বের করে আনার পর আমরা অবাক হই। কারণ ইয়াবা পরিবহণে নানা পদ্ধতির মধ্যে এটি ছিল আমাদের জন্য নতুন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জয়নিউজ/এফও/জেডএইচ