সন্দ্বীপ যাতায়াতের ৬টি ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়েছে। এই দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই ফেরিঘাটগুলো। সীতাকুণ্ডের বিভিন্নস্থানে অবস্থিত এসব ফেরিঘাটগুলো শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়।
প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ইজারাদাররা।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জয়নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এ ফেরিঘাটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন প্রশাসন। সে হিসেবে ফেরিঘাট ইজারাদাররা সকল প্রকার নৌ-যান বন্ধ রেখেছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরেও কোনো জেলে যাতে মাছ ধরতে যেতে না পারে সেজন্যে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। ইউপি সদস্য, সিপিপির কর্মীসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপকূলীয় জেলাপাড়ায় নজর রাখছে।
বন্ধ রাখা ফেরিঘাটগুলো হলো, সৈয়দপুর বাঁকখালী ঘাট, মুরাদপুর আমির মোহাম্মদ ফেরিঘাট ও ফকিরহাট ফেরি ঘাট, বাড়বকুণ্ড ফেরিঘাট, বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট, কুমিরা ফেরিঘাট ও ভাটিয়ারী ছোয়াখালী ঘাট।
এ ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিনিয়তই যাত্রী উঠানামা করেন। ফেরিঘাট ইজারাদাররা জানিয়েছেন এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন সন্দ্বীপে ১২’শ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।
কুমিরাঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক স্পিডবোট ও শতাধিক মাছ ধরার বোট ও কয়েকটি মাছ ধরার লঞ্চ কুমিরাঘাট সংলগ্ন খালে অবস্থান করছে। কোনো মাঝি-মাল্লা বোটগুলোতে নেই। এছাড়া কয়েকজন যাত্রী জরুরি প্রয়োজনে সন্দ্বীপ যাওয়ার জন্য ঘাটে এসে অপেক্ষা করছে।
ঘাটে কথা হয় সৌমেন জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার মাছ ধরতে সাগরে গিয়েছিলাম। মোবাইলে তার নাতী জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার কথা। সংবাদটি পেয়ে সাগর থেকে মাছ ধরার স্পিডবোট নিয়ে উপকূলে চলে আসি। একই কথা বলেছেন ভাটিয়ারী মির্জানগর জেলেপাড়া বাদল জলদাসও।
কুমিরাঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র সতর্কতা সংকেত দেওয়ার পর থেকে সবপ্রকার নৌ-যান এঘাট থেকে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন যখন অনুমতি দিবে তখন থেকে সন্দ্বীপ যাতায়াতের লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু করা হবে।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, জেলেরা যাতে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে উপকূলে ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেন সে জন্য শনিবার সকাল থেকে পুরো ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে।