রায় আইন ভিত্তিক হয়, বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয় উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, কোনো ফাঁকা স্থানে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়নি। পুরাতাত্ত্বিক খননে পাওয়া নিদর্শন অনুযায়ী সেখানে অনৈসলামিক উপাদান পাওয়া গেছে। তবে সেই উপাদানগুলো যে রামমন্দিরের, সে বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসব মিলিয়ে আদলত বলছে, বাবরি মসজিদ রায়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ দেখিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এটি ভারতের ঘরোয়া বিষয়। এটি জমির মালিকানা সম্পর্কিত মামলা ও আইনি সমস্যা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার রায় দিতে শুরু করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
পাশাপাশি মুসলিমদের মসজিদ বানানোর জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে অযোধ্যাতেই ‘বিকল্প’ স্থান। মসজিদ বানানোর জন্য অযোধ্যারই কোনও উল্লেখযোগ্য স্থানে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এখানে আরো বলা হয়েছে, ভারত সরকার সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের সদিচ্ছার ও সম্প্রীতির এতিহ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্ত উপাসনালয়গুলোকে রক্ষার জন্য আমাদের গভীর শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি পূর্বে ঠিক করা নয়। এই রায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে একই দাবিতে নেতৃত্ব দেবে না এবং কোনোভাবেই আমাদের সংখ্যালঘু নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করবে না।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণায় বলেছেন, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল। তবে কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট যে সেগুলি অনৈসলামিক। তবে এএসআই এ কথা বলেনি, যে তার নিচে মন্দিরই ছিল।রায়টি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ বিবেচনায় নিয়েছিল, এটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল, যা প্রমাণ করে যে একটি পূর্ব-বিদ্যমান কাঠামো যা ইসলামী ছিল না তা বিতর্কিত কাঠামোর ভিত্তি করে। এএসআই যে রায় দিয়েছে তা প্রশংসাপত্রগুলোর সন্দেহের বাইরে।
জয়নিউজ/এসআই