‘সেনাবাহিনী ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এ সরকার একটি অমানবিক সরকার। সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপির বয়োবৃদ্ধ নেতাদেরকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির জন্য আরো ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাটহাজারীর লালিয়ার হাট মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক শোকসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
সভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মত দলের প্রতি অনুগত নেতা রাজনৈতিক অঙ্গনে আর জন্মাবে না। মৃত্যুকালে ওয়াহিদুল আলমের দুঃখ একটাই নেত্রীকে মুক্ত দেখে যেতে পারেননি। রাজনৈতিক জীবনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করার আহবানই ছিল সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের রাজনৈতিক শেষ বক্তব্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে ওয়াহিদুল আলমের অবদান আলোচনায় শেষ করা যাবে না। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন ছিলেন তিনি। প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটে ছিলেন সহায়কের ভূমিকায়। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তাঁর অবদান ছিল অসাধারণ।
সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা বলেন, আমার বাবা তাঁর জীবনের সব সময়টুকু বিএনপি এবং হাটহাজারীবাসীর জন্য দিয়েছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ করার জন্য আমি হাটহাজারীবাসীর কাছে দোয়া চাই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের এ শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, জয়নাল আবেদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মাহবুবুর রহমান শামীম, এস এম ফজলুল হক প্রমুখ।
চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মোঃ হারুন ও মোস্তফা আলম মাসুমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা আহমেদ, বেগম নুরী আরা ছাফা, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোলাইমান মঞ্জু, সৈয়দ মোঃ ইকবাল, শামীমা বরকত, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল হাসেম বক্কর, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, আবু সুফিয়ান, এম এ হালিম, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, ইদ্রিস চেয়ারম্যান, মো. এনামুল হক, আহমদ খলিল খান, মনোয়ারা মনিত প্রমুখ।
জয়নিউজ/এফও/জেডএইচ