ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে সারাদেশে চার জেলায় দুর্যোগ কবলিত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনজন গাছচাপায় এবং দুইজন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা: রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামে গাছচাপা পড়ে মারা যান প্রমিলা মণ্ডল। তিনি ওই গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল ওয়াদুদ গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাতে প্রমিলা মণ্ডল দক্ষিণ দাকোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ছিলেন। সকালে তিনি বের হয়ে দেখেতে যান তার ঘরের কী অবস্থা। তখনো দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। এরপর একটি গাছ ভেঙে তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন (৩২) নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জোয়ার্দার জানিয়েছেন, আলমগীর গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন।
পটুয়াখালী: মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ঘরচাপা পড়ে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ভোর রাতে উপজেলার উত্তর রামপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দমকা বাতাসে তার ঘরের ওপর একটি রেইন্ট্রি ও একটি চাম্বল গাছ ভেঙে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা: আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আবুল কালাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। সকাল ১১টায় উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল কালামের বাড়ি গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে। তার বাবা মৃত আজিজ সরদার। গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, রাতে আবুল কালাম গাবুরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সকালে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বরগুনা: সদর উপজেলার ডিএল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে হালিমা খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিচুর রহমান বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, উপকূলীয় জেলাগুলোতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সব জেলা থেকে এখনো তথ্য আসেনি।