সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টেজ। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে টাইগারপাসের সিটি মেয়রের কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তারা উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে সিটি মেয়র জার্মান রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা জার্মানিতে ছিলেন বলে ঘাতক চক্রের হাত থেকে তাঁরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন।
এই দুঃসময়ে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে জার্মান সরকার অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দেন। এজন্য জার্মান সরকার এবং সেই দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সিটি মেয়র।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত এ দেশের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে বলেন, অংশীদারিত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সম্ভাবনার দেশ। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে। অনেক জার্মান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত সিটি মেয়রকে জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত পিটার দু’দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ ও মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম। পরে সিটি মেয়র জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।