ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন মেয়ে শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। একটু পর পর সে খুঁজছে স্বজনদের। তবে এখনো পর্যন্ত শিশুটির কোনো স্বজনের খোঁজ মেলেনি। হাসপাতালের নার্সরা তার দেখভাল করছেন।
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের নামের তালিকায় তার নাম লেখা হয়েছে মহিমা আক্তার, বয়স আড়াই বছর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, ‘সকালে আহত রাহিমা আক্তার নামে এক বৃদ্ধা ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। রাহিমা চাঁদপুরের সাতিরাশির বাসিন্দা। তখন তিনি এই শিশুর নাম মহিমা বলে জানান। তার বাবার নাম মঈনউদ্দিন এবং চাঁদপুরের কাকলী তিতাসের বাসিন্দা বলে জানালে রেজিস্ট্রার্ড বইয়ে সেটিই উল্লেখ করা হয়।’
শওকত হোসেন আরও বলেন, ‘শিশুটির কপালের বাম পাশ থেকে মাথার পেছন অংশ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। কপালে সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছে।’
তাকে বর্তমানে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তার ও শিক্ষানবিশ নার্স তাহরিমা আক্তার জানান, শিশুটিকে নার্সদের কক্ষে রাখা হয়েছে। কারণ, মানুষ ভিড় করছে। শিশুটি একটু পর পর শুধু বাইরে যাবে বলে জানায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার এনামুল হক বলেন, ‘একজন নারী নিজেকে শিশু মহিমার ফুফু এবং এক ব্যক্তি নিজেকে এই শিশুর চাচা বলে দাবি করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছে, শিশুটির বাবা-মাকে নিয়ে আসতে। প্রকৃত অভিভাবক ছাড়া অন্য কারও কাছে এই শিশুকে হস্তান্তর করা হবে না।’