শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। সপ্তাহব্যাপী ব্যস্ত মেয়রেরও থাকার কথা নিজ ঘরে, পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু দুই গুণী ব্যক্তির অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি ঘরে থাকতে পারলেন না। সকালেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লেন নগরপিতা।
সকালে অসুস্থ কোতোয়ালী থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল আহমেদের বাসায় ছুটে যান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। আবার দুপুরে যান অসুস্থ প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রাক্তন কমিশনার খন্দকার সিরাজুল আলমের বাসায়। এভাবেই দুই গুণীর পাশে থেকে ছুটির দিন কাটিয়েছেন মেয়র।
সকালে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স কোতোয়ালী থানার কমান্ডার জামাল আহমেদ প্রকাশ ফকির জামালকে তাঁর পূর্ব বাকলিয়ায় বাসভবনে দেখতে যান নগরপিতা। এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল ফকিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পরে তিনি ফকিরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল ইসলাম, রিতাব উদ্দিন বাবু, মো. সোলেমান, রাজনীতিবিদ মনির, আবদুল হক, হারুন, মহসিন ও রাজীব প্রমুখ।
এদিকে মেয়র দুপুরে প্রাক্তন কমিশনার ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য খন্দকার সিরাজুল আলমকে তাঁর ফকিরপাড়ার জামশেদ শাহ সড়কের বাসভবনে দেখতে যান। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন মেয়র। পরে তিনি সিরাজুল আলমের চিকিৎসার ব্যাপারে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শফিউল আলম সগির, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অসিউর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী মাজার কমিটির খাদেম হামিদুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইয়াকুব, কাজী আবদুল মালেক, হারুন জালালাবাদী, মো. হুমায়ুন আবু সৈয়দ আজম, আবদুল করিম, রাজা মিয়া রাজু, মো. আলী, নাসির তালুকদার, কাজী সগির, মো. ওয়াহিদুল আলম বাবলু, সাবেক ছাত্রনেতা মো. শহিদুল ইসলাম, শহিদুল আলম বখতেয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, মো. ইউনুছ, খন্দকার সিরাজুল আলমের বড় ছেলে এহতেশামুল আলম খোকা প্রমুখ।
জয়নিউজ/এফও/বিবি