দৈনিক পূর্বকোণের প্রাক্তন সম্পাদক এবং দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্থপতি তসলিমউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৫ নভেম্বর।
২০১৭ সালের এই দিনে ঢাকার ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি তসলিমউদ্দিন চৌধুরী জন্ম। তাঁর বাবা চট্টলদরদী খ্যাত ও আধুনিক সংবাদপত্রের পথিকৃৎ মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী। মাতা মরহুমা জোহরা বেগম চৌধুরী।
শিক্ষাজীবনে সলিমউদ্দিন চৌধুরী সেন্ট মেরিস ও সেন্ট প্লাসিডস স্কুল থেকে শিক্ষার প্রাথমিক-পর্ব সমাপ্ত করেন। অতঃপর ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে পাঠ শেষে স্থাপত্যবিদ্যার প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে ভর্তি হন শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এখানে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্থাপত্যবিদ্যা ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল তার অসামান্য পাণ্ডিত্য। স্থপতি তসলিমউদ্দিন চৌধুরী চিন্তায় ও মননে আধুনিক এবং ছিলেন স্পষ্টভাষী।
তিনি ছিলেন সংস্কারমুক্ত, দায়িত্বপ্রবণ ও ধর্মপ্রাণ একজন আলোকিত মানুষ। কর্মজীবনে নিরলস ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও একইসাথে ছিলেন চিন্তা-চেতনায় সমাজসচেতন ও দায়বদ্ধ। দেশপ্রেমে ঋদ্ধ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক গুরুদায়িত্বও বহন করে গেছেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছিলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির একনিষ্ঠ অনুরাগী।
তিনি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে তাকে পূর্বকোণ গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়। তিনি নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বের বাইরেও অসংখ্য শিক্ষা, সেবামূলক ও রাষ্ট্রীয় গুরুদায়িত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাদ আসর দৈনিক পূর্বকোণ সেন্টারে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরীসহ পূর্বকোণ গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দৈনিক পূর্বকোণের সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি