একে একে পরিচয় শনাক্তের পর লাশঘর থেকে ৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হলেও বাকি একজনের পরিচয় মেলেনি। সকালে পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হলেও ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকালে আরো দুই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়। এখন বাকি একটি মরদেহের পরিচয় খোঁজ করছে পুলিশ।
পরিচয় পাওয়া ৬ জন হলেন প্রধান শিক্ষিকা এ্যানি বড়ুয়া (৩৮),গৃহিনী ফারজানা বেগম (৩২), স্কুলছাত্র আতিক (১০), রংমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩০), রিকশাচালক আবদুস শুক্কুর (৫০), ভ্যানচালক মো. সেলিম (৪০)।
পুলিশের এডিসি আবদুর রব (দক্ষিণ) জয়নিউজকে বলেন, নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলেও বাকি ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকাল ৩টার দিকে আবদুস শুক্কুর (৫০) নামে আরো একজনের লাশ শনাক্ত করে তার স্বজনরা। নিহত আবদুস শুক্কুর পেশায় একজন বিকশাচালক।
এছাড়া মো. সেলিম (৪০) নামে এক ভ্যানচালকের আরেকটি মরদেহ শনাক্ত করে তার বন্ধু জসিম। সেলিমের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়। বাকি একটি মরদেহ এখনো পরিচয় মেলেনি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনের পাশে বড়ুয়া বিল্ডিংয়ে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা ভবনটির নিচতলার দুটি দেয়াল ধসে পড়ে ও দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ৭ জন নিহত হন।