চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও বাংলাদেশের অদ্বিতীয় ক্যাম্পাস। সুদীর্ঘ ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে ৫৪ বছরের পথ চলা শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যায়।
১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ৫৩ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করছে চবি। এজন্য আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। সোমবার সকালে বর্ণাঢ্য র্যা লি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপনের কথা রয়েছে।
৫৩ বছর আগে মাত্র চারটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে চবিতে এখন রয়েছে ৪৮টি বিভাগ ও ৭টি ইন্সটিটিউট। শুধু শিক্ষা আর গবেষণা নয়, দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এ বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছে বিশেষ অবদান। ১৯৭১ এর গণঅভ্যুত্থান ও ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ‘৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যার সাক্ষী।
৫৩ বছরের পথচলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনের ঝুলিও কম নয়। দেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলো রয়েছে চবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের দখলে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম ও নোবেলজয়ী ড. ইউনুসও চবির অধ্যাপক ছিলেন।
এখনও নানা প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের
৫৩ বছর পেরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যখন ৫৪ বছরে পদার্পণ করছে তখনও তাকে নিয়ে নানা আশা, স্বপ্ন ও প্রত্যাশা রয়েছে শিক্ষার্থীদের।
চবি বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাদিয়া কানিজ জয়নিউজকে বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় চবি এগিয়ে যাবে এটাই স্বপ্ন দেখি। সাম্প্রদায়িক শক্তির ছোবল থেকে চবি মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি।
সকলকে ৫৩ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার জয়নিউজকে বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৫৩ বছর পার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। চবিকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাব। আমার সুদক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে আগামীতে পথ চলতে চাই৷