চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের লিফটে ১৫ মিনিট বন্দি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পাথরঘাটা বিস্ফোরণে আহত রোগীদের দেখতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে নগর বিএনপির সহসম্পাদক ইদ্রিস আলী জয়নিউজকে জানান।
তিনি বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত ও বিএনপির ২০-২৫ জন নেতাসহ সাংবাদিকও ছিলেন।
এবিষয়ে আমীর খসরু জয়নিউজকে বলেন, পাথরঘাটা বিস্ফোরণে আহত রোগিদের দেখতে যায় চমেকে। চমেক হাসপাতালের পঞ্চম তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে তিন নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিটি লিফটে বন্দি ছিলাম। তবে আমরা কেউ আহত না হলেও বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।
চমেক কর্র্তপক্ষকে দায়ী করে ডা. শাহাদাত হোসেন জয়নিউজকে বলেন, প্রচুর পরিমাণে বাজেট থাকার পরও এসব লিফট মেরামত করার উদ্যোগ নেয় না । দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় চমেকের এসব লিফট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আজকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
লিফটে থাকা এনটিভি চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপার্সন সুমন গোস্বামী জয়নিউজকে বলেন, দুপুরে পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব নেতা ডা. খুরশিদ জামিলসহ বিএনপির ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী।
এতে আমরা সবাই আতংকিত হয়ে পড়ি। পরে বাইরের লোকজন এবং লিফটম্যান আমাদের উদ্ধার করে।
চমেক লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, এই লিফট রাতদিন ২৪ ঘণ্টা চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আরও ছিলেন পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, নগর বিএনপির সহসভাপতি এমএ আজিজ, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান ও নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেল।
জয়নিউজক/কাউছার/বিআর