লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থী ফাহিমকে প্রধান শিক্ষক অহীদুল হকের মারধরের কারণে মুখে ও মাথায় আঘাত পান সে। কিন্তু এ ব্যথার একদিন পর সমাধান হয়েছে মাত্র দশ হাজার টাকায়।
এর আগে রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মারধরের কারণে দুই ঘণ্টা অজ্ঞান থাকার পর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন শিশু ফাহিম।
ফাহিম সদর উপজেলার হিরামন বাজার এলাকার ধর্মপুর গ্রামের মৃত মহিমের ছেলে ও পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফাহিমের নানা মজিবুল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, ছোট বেলায় ফাহিমের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই সে ছিল সকলের আদরের। কেন, কি কারণে নির্মমভাবে মারধর করেছে প্রধান শিক্ষক অহিদুল? তা এখনো জানেন না বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফাহিমকে চিকিৎসার জন্য রোববার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে থেকে সামান্য চিকিৎসা দিয়েই বাড়িতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক অহীদুল।
এরপর ওই শিক্ষক সামান্য কিছু ওষুধ ও কয়েকটা টাকা দিয়ে সমাধান করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিসহ লোকজনকে জানান।
তবে এঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এভাবেই রেহাই পায় অপরাধীরা। মারধরের ঘটনায় শিক্ষকের বিচার হওয়া দরকার ছিল। তা হতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, ফাহিমকে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা না দিয়েই তড়িঘড়ি করে বাড়িতে এনে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে সমাধানের পথ খুঁজে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক অহীদুল হক।
এরআগেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মসহ তার স্ত্রী, সন্তান ও ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের অনেক ঘটনার অভিযোগ।
নানা অনিয়ম অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক অহীদুল হক জয়নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থী ফাহিমকে অন্যায়ের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ও অন্যান্য শিক্ষকরা জানেন কার দোষ। আর শিক্ষকরা এ রকম মারধরসহ দু’একটা শাসন করে। এ ঘটনায় সামান্য কিছু টাকায় সমাধান করা হয়েছে। এখন আর লেখা-লেখি বিষয়টি বাড়াবাড়ি হবে। তা আর দরকার নাই বলেও জানান তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থী মারধরের বিষয়টি অন্যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তদন্তে প্রধান শিক্ষক দোষি প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।