প্রশাসনের চাপের মুখে পেঁয়াজের দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। টেকনাফ বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
কক্সবাজারের বাজারগুলোতে সোমবার ( ১৮ নভেম্বর) তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা কেজিতে। সেখানে শহরের খুচরা দোকানগুলোতে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২১০ টাকা।
জানা যায়, টেকনাফ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন আসছে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। আমদানিকারকরা কম দামে মিয়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ কিনলেও বন্দরে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে টেকনাফ বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরে বেড়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি।
এ সময়ে আমদানিকারকরা অন্য ভোগ্যপণ্যের চেয়ে পেঁয়াজ আমদানিতেই উৎসাহী হয়ে পড়েন। ভারতের পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা তৈরি হয়। এ কারণে আমদানিকারকরা মিয়ানমার থেকে অন্যান্য পণ্যের পরিবর্তে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছেন। চলতি বছরের আগস্ট থেকে সোমবার পর্যন্ত টেকনাফ বন্দরে আমদানিকৃত মিয়ানমারের পেঁয়াজ পৌঁছেছে প্রায় ৩৭ হাজার টন।
তবে দেড় মাসেই মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার টন পেঁয়াজ। ১৮ নভেম্বর টেকনাফ বন্দরে খালাস করা হয় ১৩১ টন পেঁয়াজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা জয়নিউজকে বলেন, বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার পরও তা বাজারজাত করতে অনীহা প্রকাশ করছেন আমদানিকারকরা। যেকোনো উপায়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধিই এর কারণ।
আমদানিকারকদের এই অপকৌশলের কারণে ইতোপূর্বে টেকনাফ বন্দরে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচে যায়। তবে বাজারে সংকট থাকায় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচলেও আমদানিকারকদের লোকসান গুণতে হয়নি।