সৌম্য সরকারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আগে ব্যাট করে দারউইস রসুলির সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তান ইমার্জিং দল ৯ উইকেটে করেছিল ২২৮ রান। বাংলাদেশ সেটি পেরিয়ে যায় ৬১ বল বাকি থাকতে।
হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সৌম্য। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনিই।
একই মাঠে শনিবার (২৩ নভেম্বর) চতুর্থ আসরের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আগের দিন রোমাঞ্চকর প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ৩ রানে হারিয়ে পাকিস্তান ফাইনাল নিশ্চিত করে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ এখন পর্যন্ত হারেনি, জিতেছে নিজেদের চারটি করে ম্যাচেই।
সকালে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন হাসান মাহমুদ। ২৪ রানের মধ্যে তিনি ফিরিয়ে দেন আফগানিস্তানের প্রথম দিকের তিন ব্যাটসম্যান আব্দুল মালিক, শহিদুল্লাহ ও সৈকত জামানকে।
একটু পর মুনির আহমেদকে বোল্ড করে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সৌম্য। একটা পর্যায়ে ৭৩ রান তুলতেই আফগানিস্তান হারায় ৫ উইকেট! অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা দলকে এরপর অনেকটা একাই টেনেছেন রসুলি।
ষষ্ঠ উইকেটে তিনি ওয়াহিদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে ৬৭ ও সপ্তম উইকেটে তারিক স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে ৮৬ রানের দারুণ দুটি জুটি গড়েন। সেই সঙ্গে নিজে তুলে নেন সেঞ্চুরি, ১২০ বলে।
শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন সৌম্য। মিডিয়াম পেসে তিন বলের মধ্যে ফেরান তারিক ও রসুলিকে। শেষ বলে রান আউট হন আব্দুল ওয়াসি। শেষ ওভারে ৪ রান তুলতে আফগানরা হারায় ৩ উইকেট। রসুলি ১২৮ বলে ৭টি করে চার ও ছক্কায় করেন ১১৪ রান। শফিক ৩৪ ও তারিক করেন ৩৩ রান।
হাসান ১০ ওভারে ৪৮ রানে ও সৌম্য সমান ওভারে ৫৮ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। গ্রুপপর্বে দারুণ বোলিং করা সুমন খান এদিন ৫৯ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু করেছিলেন নাঈম শেখ ও সৌম্য। তবে নাঈম ইনিংস বড় করতে পারেননি। চতুর্থ ওভারে নাঈম ২১ বলে ১৭ করে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের বড় জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সৌম্য ও শান্ত। আব্দুল মালিককে ছক্কায় উড়িয়ে সৌম্য ফিফটি পূর্ণ করেন ৪৯ বলে। তবে ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। বোল্ড হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস সাজান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে তিনি করেন অপরাজিত ৮৪, ৭৩ ও ১১ রান।
ফিফটির পর শান্তও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ৫৯ রান। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে বাকি কাজটা সারেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলী। আফিফ ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ ও ইয়াসির ৫৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।