নগরের পানি সমস্যা নিরসনে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে নগরবাসী।
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। এই শহরকে সমৃদ্ধির জায়গায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে চট্টগ্রাম ওয়াসায় আরো ৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার প্রতিটির প্রকল্প ব্যয় হবে ৪-৫ কোটি টাকা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রেডিশন ব্লু’র মেজবান হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা প্রকল্পের (১ম পর্যায়) পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা বড় চ্যালঞ্জে। শুধু শহর নয় গ্রামে ও সুপেয় পানি পোঁছে দেওয়া সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মানুষের আয় বাড়ছে, আগামীতে আরও বাড়বে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের নিতে হবে ব্যাপক প্রস্তুতি। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
পরার্মশ নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফয়জুল্লাহ, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, মো.ইব্রাহিম ও মালয়েশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যস্থাপনা পরিচালক তনুশ্রী আই আর জাহেদ ইবনে আহমেদ লাদেন।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়ার জেবি অব এরিস্কো এবং বাংলাদেশের বিইটিএস কনসালটিং সার্ভিস লি., ডেড কনসালট্যান্ট লি. ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র নাছির বলেন, চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের পরিকল্পিত নগরীতে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই অনুষ্ঠান। পানির লাইন সম্প্রসারণে নগরবাসীর অসুবিধার কারণে নানা সমালোচনা হলেও ওয়াসার পাশে ছিলাম আমি। আহ্বান জানাবো আগামীতে সাংবাদিকরাও তাদের (ওয়াসার) পাশে থাকবেন।
তিন হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা বাস্তবায়ন সুয়্যারেজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এরমধ্যে সরকারের অনুদান ৩ হাজার ৭ শত ৫৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ও ওয়াসা দেবে ৫০ কোটি টাকা।
পুরো নগরকে ৬টি জোনে ভাগ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথমধাপে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে এ প্রকল্পের আওতায় আনা ৬ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী ২০২৩ সালে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রাম শহরকে পয়ঃব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসা একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে। এই প্ল্যানে নগরীকে ৬টি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করে প্রতিজোনের জন্য ১টি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ এবং পুরোশহরের জন্য ২টি ফিক্যাল স্লাজ শোধনাগার স্থাপন করা হবে।