চারদিকে বিশৃংখলা চলছে উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্য, শেয়ার বাজার, ব্যাংক, পরিবহন সেক্টর- কোনো কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরের কাজীর দেউরিতে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আমির খসরু বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সুরক্ষা দেওয়া, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার কথা সংবিধানে নেই। আর যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে তারা বাকশালী ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা চিন্তা করে না। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, আইনের শাসন হরণ করে। নিয়ন্ত্রণ তখন থাকতো যদি জনগণের কাছে ভোট চাইতে হতো।
‘সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপির মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই’- সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন আইন-আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করে রেখে ভোটের আগের রাতের ভোট প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বক্তব্য একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, হাজী মো. আলী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, আশ্রাফ চৌধুরীম, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সামশুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু প্রমুখ।