খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সভাপতি ও নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই চলছে। উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাঁধা দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী অভিযান চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনরার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপির দুঃশাসনের সময় খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার নিপীড়ন নেমে এসেছে। সেটা এখন আর নেই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামলু হক শামীম জানান, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন নদীভাঙন রোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকার প্রকল্প ‘একনেক’ সভায় বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ির সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুল হায়দার রোটন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা প্রমুখ।
এর আগে খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগদান করে। বেলা ২টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি হয়।
পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সভাপতি ও নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিন বছরের জন্য মনোনীত করা হয়। এছাড়া দিদারুল আলম দিদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।