ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আদলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতি অনুসরণ করে তা বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে টাইগারপাস চসিক কনফারেন্স হলে ডিএনসিসি ও চসিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরের কাজের প্রশাংসা করে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরের হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য মেয়র হেলথকার্ড প্রদান একটি বিরল দৃষ্টান্ত।
আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র ওবাসস্থান- এ ৫টি মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র নাছির উদ্দীন বলেছেন, চসিক এলাকায় বসবাসরত ৭০ লাখ নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে চসিক। নগরবাসীর মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র ও হতদরিদ্র জণগোষ্ঠী রয়েছে। যারা স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে চসিক ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সভায় ডিএনসিসি-চসিক বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা নিয়ে দুই মেয়রের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দেশের ১২টি সিটি করপোশনের সমস্যা অভিন্ন উল্লেখ করে সকল সিটি করপোশনের মেয়রকে নিয়ে একটি মেয়র প্লাটফরম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র দুই করপোশনের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও ভাববিনিময়ের ক্ষেত্রে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় চসিক শিক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তথ্যচিত্র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম রাজস্ব আদায় ও এস্টেটের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
এতে ডিএনসিসি সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মেয়রের একান্ত সচিব শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল ইসলাম, চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল।