লক্ষ্মীপুর চাঙ্গিরগাঁও এলাকায় আপত্তিকর ভিডিওধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতিতে বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ফিরোজ আলম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার প্রধান আসামি ফিরোজ আলম জেলার ভাদুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফরোজা ববি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রী ও জনৈক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করে ফিরোজ আলম। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতিতে জিম্মি করা হয় ওই নারীকে। তার কাছ থেকে নানা বাহানায় নেওয়া হয় তিন লাখ টাকাও। একইসঙ্গে ধর্ষণসহ নির্যাতন করা হয় নানাভাবে।
১৯ নভেম্বর ফিরোজ আলমের কাছে থাকা ভিডিও চিত্র দেখিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই নারী চিৎকার করেন।
এসময় এলাকাবাসী এসে আপত্তিকর অবস্থায় ফিরোজকে আটক করেন। পরে স্থানীয়ভাবে বিচারের আশ্বাসে ফিরোজকে ছাড়িয়ে নেন স্থানীয় কয়েকজন। এরপর বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী।
পরে সুস্থ হয়ে সোমবার শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুবক ফিরোজ আলমকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা করেন। প্রতারণার শিকার ওই নারী এমামলায় বিচার দাবি জানিয়েছেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে তাকে হত্যা ও গুম করার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঘটনা অস্বীকার করে ফিরোজ আলম জয়নিউজকে বলেন, প্রতিহিংসার শিকার তিনি। বর্তমানে এ ঘটনায় পালিয়ে রয়েছেন। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।