মৃত্যুর সঙ্গে ১৩ দিনের অসম যুদ্ধে অবশেষে হেরে গেলেন তৃষা নওরীন গোমেজ (২২)। গত ১৭ নভেম্বর পাথরঘাটার সেই ভয়াবহ গ্যাসলাইন বিষ্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৃষা। টানা ১৩দিন ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে তৃষা চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জয়নিউজকে বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টায় তৃষা গোমেজ মারা যান।
তৃষা পাথরঘাটার অনল গোমেজের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে তৃষা ছিলেন বড়। পড়তেন সদরঘাটের ইসলামিয়া কলেজের ডিগ্রীতে । পড়ালেখার পাশাপাশি তৃষা পাথরঘাটা সেন্ট জনস গ্রামার স্কুলেও শিক্ষকতাও করতেন। ঘটনার দিনও সকালে স্কুলে ক্লাস নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানত এ যাওয়া তার শেষ যাওয়া। স্কুল যা্ওয়ার পথে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তৃষা। পরে অন্যান্য আহতদের সঙ্গে তাকেও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা তের দিন যুদ্ধ করেছেন মৃত্যুর সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত অধরা স্বপ্নগুলো ছোঁয়ার আগেই শুক্রবার নিভে গেল তৃষার জীবনপ্রদীপ।
প্রসঙ্গত, ১৭ নভেম্বর সকালে নগরের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে বড়ুয়া ভবন নামে একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এতে আশপাশের আরও কয়েকটি বাসা এবং দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার দিন বিস্ফোরণে নারী ও কিশোরসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো ১০ জন।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি