কয়েকদিনের মধ্যে উন্মত্ত পদ্মা গিলেছে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি। শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাছে পদ্মা নদীর ভাঙন সম্পর্কে চার মাস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল একটি সরকারি গবেষণা সংস্থা।
পদ্মার ভাঙনে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার বিস্তীর্ণ জমি, বসতভিটা, হাসপাতাল, স্কুলঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু আগেভাগে পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস চার মাস আগে তাদের বাৎসরিক প্রতিবেদনে এমন ভাঙনের কথা উল্লেখ করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সহকারী নির্বাহী পরিচালক ড.মমিনুল হক সরকার।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মত এ বছরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এবার বিরাট ভাঙন হওয়ার কথা বলেছি আমরা। সেটিই ঘটছে এখন।
২০১২ সালের দিকে দুই কিলোমিটার জায়গা বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ীভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বেশিদিন কাজ হয়নি। এ বছর একটি বড় প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটির কোনো ধরনের বাস্তবায়ন দেখেননি ভিটেহারা মানুষ।
গত বছর থেকে নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়। তখন তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এ বছর জানুয়ারি মাসের দুই তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুরেশ্বর থেকে কুণ্ডেশ্বর পর্যন্ত প্রায় নয় কিলোমিটার জায়গা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং নদীর মধ্যখানে একটি চ্যানেল কেটে পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য একটি প্রকল্প পাশ করেছিলেন। নয় মাস চলে গেলেও এ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি।-বিবিসি
জয়নিউজ/এডি