নগরে চারটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আইনে থাকলেও নির্মাণের দীর্ঘদিন পরেও ফ্লাইওভারগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করেনি সংস্থাটি। যদিও এজন্য সিডিএর কর্মকর্তারা সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় চসিক সম্মেলন কক্ষে ফ্লাইওভারগুলো চসিককে হস্তান্তর করেছেন সিডিএ।
ফ্লাইওভারগুলো হল-বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।
মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চসিক মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন সিডিএ ফ্লাইওভার চসিককে হস্তান্তর করা মানে কালকে থেকে রক্ষণাবেক্ষণের শুরু করবে তা নয়। হয়ত মিডিয়ায় কালকে থেকে নিউজ প্রকাশ করবে ফ্লাইওভারে অপরিস্কার।
তিনি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, নগরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চসিকের যথেষ্ট আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা আছে। খুব শিগগির ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করবে সিটি করপোরেশন।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাস বলেন, নগরে চারটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে সিডিএ। আমি সিডিএর দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম সরকারি নিয়ম হচ্ছে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করে সিটি করপোরেশনেকে হস্তান্তর করা। কিন্তু সিডিএর আগের চেয়ারম্যান সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করেনি। তাই আমি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি নগরের চারটি ফ্লাইওভার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ, রাস্তা, ফুটপাত, ড্রেন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিকে হস্তান্তর করলাম।
কদমতলী ফ্লাইওভার
সিডিএ’র পক্ষ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান চসিকের এস্টেট অফিসার এখলাছ উদ্দীন আহমেদকে ফ্লাইওভার হস্তান্তরের চিঠি হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আফরোজ কালাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কনেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, এস্টেট অফিসার এখলাসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সালেহ আহমেদসহ সিডিএ কর্মকর্তারা।