সরকারের কতিপয় মন্ত্রীর অতিকথনও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে উস্কানি দিচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে `পেঁয়াজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দাও’ শীর্ষক প্রতিবাদি কর্মসূচি ও কুশপুত্তলিকায় ঘৃণা প্রদর্শনের বিনিময়ে পেঁয়াজবিহীন রান্না পরিবেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ধরণের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরের প্রেস ক্লাব চত্বরে ঘৃণা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।
নগরবাসীর উদ্দেশে সুজন বলেন, পেঁয়াজ রান্নার একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কিন্তু কি কারণে মাসের পর মাস এভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করা হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। ইতোমধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক ‘পেঁয়াজ ন খাইয়্যুম পেঁয়াজ ন কিইন্যুম’ শীর্ষক সচেতনতা সভা করেছি এবং জনগণকে পেঁয়াজবিহীন খাবার রান্না করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। জনগণও এতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা পেঁয়াজ কারবারির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে। তারপরও কি কারণে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না তা জনগণ জানতে চায়।
বিশেষ অতিথি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, পেঁয়াজকে কেন্দ্র করে যে সিন্ডিকেট প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী সমাজ একতাবদ্ধ। আমরা পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত সবার ঘরে ঘরে পেঁয়াজবিহীন রান্না করবো। পেঁয়াজসহ সকল দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়কারী মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মমতাজ খাঁন, মহিলা কাউন্সিলর ওয়াসা বোর্ড মেম্বার আফরোজা কালাম, শারমিন সুলতানা ফারুক, মিথুন বড়ুয়া ও বেসরকারি কারাপরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মো. সালাউদ্দিন, আবুল কালাম বিএসসি, আবুল হাসেম বাবুল, মিসেস তাহমিনা বেগম, শফিউল আজম বাহার, মহিউদ্দিন শাহ, মাঈনুল হক লিমন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, এএসএম জাহিদ হোসেন, আবুল হাসান সৈকত, কাউন্সিলর নীলু নাগ, ডা. অঞ্জন দাশ, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, নাজিম উদ্দিন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, মো. মুরাদ, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, অনির্বান দাশ বাবু, শেখ মামুনুর রশীদ, ফারজানা মুন্নী, সোলেমান সুমন, শাহনেওয়াজ রাজীব, পাভেল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, তালেব আলী, নাঈম রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, আফম সাইফুদ্দীন, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মন, ইরফানুল আলম জিকু, মিনহাজুল আবেদীন সানি, খোরশেদ আলম, হাসানুল আলম সবুজ, আবু তারেক রনি, এহসানুল কবির ববি, আবু সালেহ রিমন, শেখর দাশ, মো. ওয়াসিম, বিকাশ দাশ, আব্দুল জাহেদ মনি, সুভাষ মল্লিক সবুজ, রাকিবুল হাসান, ফয়সাল সাব্বির, ইবনে জামান ডায়মন্ড, মীর মো. ফয়সাল, আকবর হোসেন রাজন ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিবাদী সভা শেষে পেঁয়াজবিহীন মুরগীর মাংস, মাছ, পালংশাক, লালশাক, নুডুলস, ছোলা, পাকুড়া ও পেঁয়াজুসহ নানান পদের রান্না পরিবেশন করা হয়।