এসএ গেমসে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের রেকর্ড ২৪৯ রানে মালদ্বীপের মেয়েদের উড়িয়ে দিয়েছে সালমা খাতুনের দল।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুরুতেই ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের নিগার সুলতানা ও ফারজানা হক দেখা পেয়েছেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির। পরে মালদ্বীপ ১২.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৬ রান।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ছেলেদের ক্রিকেটে এই মালদ্বীপের বিপক্ষেই ১৭৪ রান তুলেছিলেন সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেনরা। সে ম্যাচে ১০৯ রানে জিতেছিল তারা।
শুরুতে শ্রীলঙ্কা আর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে গুঁড়িয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের নারী দলের জন্য মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল নিয়ম রক্ষার। আর তাতে ফাইনালের আগে ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতিটাও ভালোই হয়েছে। স্বর্ণপদক এখন সালমা খাতুনদের নাগালের মধ্যেই বলা যায়।
নেপালের পোখারায় রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯ রানেই দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা ও সানজিদা ইসলামের উইকেট হারায় বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু এরপর মালদ্বীপের বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন নিগার ও ফারজানা।
মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি হাঁকানো নিগার সুলতানা প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫৯ বলে। আর ফারজানার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আসে ৪৯ বলে। দুজনে মিলে শেষদিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন। এর মধ্যে শেষ পাঁচ ওভারে এসেছে ৮০ রান। আর ১৫তম ওভারে এসেছে ২৪ রান। দুজনের জুটিতে এসেছে অবিচ্ছিন্ন ২৩৬ রান।
শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত থাকা নিগার সুলতানার ৬৫ বলের ইনিংসটি ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো। আর ৫৩ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকা ফারজানার ইনিংসটি সাজানো ২০টি চারে। মালদ্বীপের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন শাম্মা আলী।
ব্যাটিংয়ে নেমে মালদ্বীপের ৮ ব্যাটসম্যান ফেরেন ০ রানে। রিতু মনি ৪ ওভারে তিন মেডেন নিয়ে মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। সালমা খাতুন ৩.১ ওভারে ২ রানে তিনটি উইকেট পান। সর্বোচ্চ ২ রান করেন শাম্মা আলী। রাবেয়া আর নাহিদা একটি করে উইকেট তুলে নেন।