‘জাগিয়ে দেরে চমক মেরে, আছে যারা অর্দ্ধচেতন’- শিরোনামে বোধন সম্মেলন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন বোধনের আহ্বায়ক আবদুল হালিম দোভাষ।
উদ্বোধনের পর বোধন সদস্যরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম দোভাষ এবং সঞ্চালনা করেন পারভেজ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী ড.মাহবুবুল হক। প্রধান আলোচক ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধ্যাপক মাছুম আহমেদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সুচরিত দাশ খোকন, চবি অধ্যাপক কবি হোসাইন কবির, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ সেন।
এছাড়া এতে সাবেক লায়ন গর্ভনর রফিক আহমেদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, দেওয়ান মকসুদ আহমেদ, অধ্যাপক ও নাট্যজন ড. কুন্তল বড়ুয়া, লায়ন জাহাঙ্গীর মিয়া, অনুপ সাহা, নজরুল সংগীত শিল্পী দীপেন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ লিলি বড়ুয়া ও সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এর সমাজ সেবা কর্মকর্তা যোবায়ের আলম, সুমন কান্তি শর্মা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সহসভাপতি ফারুক তাহের, সাংবাদিক কমল রুদ্র ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গরা।
বিকাল ৩টায় কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বোধনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড. সুভাষ বরণ চক্রবর্ত্তী। প্রশান্ত চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পীযুষ বিশ্বাস, পারভেজ চৌধুরী, সুদীপ বড়ুয়া খোকন, সুজিত রায়, অ্যাড. নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস, আবদুল হালিম দোভাষ।
কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন। এছাড়াও সহকারী নির্বাচনী কমিশনার ছিলেন শিক্ষাবিদ লিলি বড়ুয়া ও নাট্যজন সাইফুল ইসলাম বাবু।
এসময় কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করা হয়। নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন- সভাপতি আবদুল হালিম দেভাষ, সহসভাপতি অ্যাড. নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস ও প্রবীর পাল। সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আজম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক অসীম দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল নন্দী, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বা জহির আরশি, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক জাভেদ হেসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজিউর রহমান বিতান, সদস্য প্রশান্ত চক্রবর্ত্তী, চৌধুরী জামানুল ইসলাম (পারভেজ চৌধুরী), সুজিত রায়, কুমার প্রতীশ বল ও সুছন্দা ঘোষ চৌধুরী।