সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল হবে। এছাড়া সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে করা হবে ইকোনমিক জোন। কেরানীহাট ও আমিরাবাদে ছয় লেনের দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণও করা হবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর এক রেস্টুরেন্টে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সাঙ্গু ও ডলু নদীর ভাঙনরোধে ৫৭৭ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এরমধ্যে ৩৩৩ কোটি টাকার কাজ বর্তমানে চলমান। বাংলাদেশের কোনো এমপি নদী ভাঙনরোধে এতো টাকা পেয়েছে? আমিই পেয়েছি। মফস্বল এরিয়াতে সবচেয়ে আলোচিত রাস্তা, দেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা হবে দুই মাসের মধ্যে, সাতকানিয়া রাস্তার মাথা থেকে গুনাগরি পর্যন্ত। এটা পটিয়া বাইপাসের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হবে। ১০৬ কোটি টাকায় কাজটি হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে সাতকানিয়ায় এ রকম রাস্তা কেউ দেখেনি। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাবো।
নদভী আরও বলেন, আমি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম করেছি, যদিও এটা আমার দখলে নেই। এটা যাদের দখলে আছে, একটা ছেঁড়া কাগজও দেখাতে পারবে না, তারা বিদেশ থেকে এক টাকা এনেছে। ডকুমেন্টস সব আমার কাছে আছে। কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, ওআইসি, শেখ জায়েদ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমিই চুক্তি করেছি। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে এখন ১০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। বাংলাদেশে এত সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই। এটা আমি করেছি। এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জমিতে আমি করবোই, করবো।
এসময় সাংসদ নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সম্মান, বিশ্বাস, আস্থা নিয়ে নৌকা তুলে দিয়েছেন, সেই নৌকাকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের প্রতীকে পরিণত করার জন্য আমরা মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি, রোদে পুড়েছি, বৃষ্টিতে ভিজেছি। আমরা নেত্রীর সম্মানের কোনো ধরনের অমর্যাদা করিনি। জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ-এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি নিজেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমার বাবা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি জামায়াতের পক্ষে পাঁচবার নির্বাচন করেছেন। আমার বাবা জামায়াত নেতা থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন না, রাজাকার ছিলেন না। সে সময় আমাদের ঘরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আশ্রিত ছিলেন। আমার বাবা স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, মুক্তিযোদ্ধারা এই কথা বলেছেন।
ফোরামের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম।
আলোচনায় অংশ নেন এমপিপত্নী ও মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রদীপ নন্দী, সরোয়ার আমিন বাবু, সৈয়দ গোলাম নবী, আহমেদ মুসা, ওমর ফারুক, আকতার হোসেন, জোবায়ের মনজুর, জয়া শর্মা, সৈয়দা সাজিয়া আফরিন, মিনহাজুল ইসলাম, সুজন আচার্য।