বিদেশি বিনিয়োগে তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে সমন্বিত ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন করা গেলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। বিশ্বের অনেক দেশ এমনটি করেছে। বিদেশিরা নিরাপত্তা ও পলিসি সাপোর্ট চায়। আমাদের ফরেন ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে লোকাল ইনভেস্টমেন্ট বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত। তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট দরকার।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসার উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্পের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। প্রধান সমুদ্রবন্দর এখানে। আমদানি-রপ্তানির ৯০ ভাগ এ বন্দর দিয়ে হয়। শীর্ষ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান আরও এগিয়ে আনতে হবে, কমাতে হবে বন্দরের লিড টাইম কমাতে হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর হলে লিড টাইম অনেক কমে যাবে। ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালু হলে অর্থনীতির অদৃশ্য হাতে মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তার সামগ্রিক স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা। এর অর্থ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ দেশ করে যাওয়া। আমরা আসলেই দুর্ভাগা জাতি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতাম। জাতির জনককে দেশ গড়ার সুযোগ দিইনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হার্ডলাইন। এটি দ্রুত ১০০ শীর্ষ বন্দরের মধ্যে অনেক ধাপ এগিয়ে এসেছে। ৩০ হাজার একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। ৮-৯ হাজার একর জমি প্রস্তুত। কর্ণফুলী নদীর নিচে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় টানেল হচ্ছে। মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। গভীর সমুদ্রবন্দরের অ্যাকোয়ার কাজ চলছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ চলছে। রেলস্টেশন হবে ঝিনুকের মতো। মিরসরাই থেকে টানেল দিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া দিয়ে লাবণী পয়েন্টে মিলিত হবে। ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। বে টার্মিনালের অ্যাকোয়ারের কাজ সম্পন্ন। এটি হলে চট্টগ্রাম শহরে যানজট হবে না।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শঙ্কর রঞ্জন সাহা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী।