প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না। যেকোনো হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ যতবড় শক্তিশালী হোক, কেউ ছাড় পাবে না।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার প্যান প্যাসেফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার হচ্ছে। এখন মানুষ বিচার পাচ্ছে। কিন্তু ৭৫-এর পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। তিনি বলেন, যুদ্ধ করে যারা দেশ স্বাধীন করেছে, খুনিরা তাদেরকেই হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবাধিকার ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট একটি পরিবারের এতগুলো মানুষকে হত্যা করা হলো অথচ তার বিচার হলো না! ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একসময় যারা দম্ভ করে বলেছিল, এই হত্যার বিচার কেউ করতে পারবে না, তাদের রক্ষা করেছিল জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু খুনিদের রক্ষাই করেনি, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। জিয়া ও তার স্ত্রী খুনিদের রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচন করিয়েছে। ভোট চুরি করে তাদের বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে বসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জিয়া ছিলেন বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার পর এ দেশে অনেক মানুষ তার স্বজন হত্যার বিচার পায়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের রক্ষা করা হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মানবাধিকারের ওপর থিম সং ও মানবাধিকারের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জয়নিউজ/পিডি