চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষে চুয়েট শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে আহত করার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা|
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ভিসি ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এসময় তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্নধরনের স্লোগান দেন।
পরে শিক্ষার্থীরা পাঁচদফা দাবিতে উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপির তথ্যমতে, ৬ ডিসেম্বর চুয়েটের প্রধান ফটকের ভিতরে কয়েকজন ছাত্রকে পুলিশ নির্যাতন করেন। ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’র উপপরিচালকের উপস্থিতিতে পুলিশ একজন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে আহত করে। ওই ছাত্রের মাথায় তিনটি সেলাই হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
এঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবি করা হলেও চুয়েট কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা অকার্যকর বলে দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে চুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মসিউল জয়নিউজকে বলেন, আমাদের দুইছাত্র আহত হয়েছে। আমরা তাদের নাম প্রকাশ করছি না। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিবেন কমিটি।
ছাত্রকল্যাণ উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবিরের পদত্যাগ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো মুহুর্তে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে এখনো পর্যন্ত পদত্যাগ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জয়নিউজকে বলেন, দুইছাত্র আহত হয়েছে, তাই শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ওরা বিচার দাবি করছেন। এটাতো একটা পদ্ধতি আছে। শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টায় স্মারকলিপি দেওয়ার পর আমরা তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। চুয়েট ক্যাম্পাসের অকার্যকর সিসিটিভির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অকার্যকর না, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্নদিকে লাইন নেওয়ার সময় লাইন কেটে গেছে। তবে ওইদিন দায়িত্বরত পুলিশরাই এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নিউজকে বলেন, এটা চুয়েট প্রশাসনের বিষয়। আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে ওইদিন পুলিশের সঙ্গে আনাস নামে এক চুয়েট শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমরা একটা সমঝোতা করে দিই। পরে সে দলবল নিয়ে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় ব্যাটেলিয়নের পুলিশ, রাউজান থানা পুলিশ ও রাউজান গুজরা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ কর্তৃক ছাত্রের মাথা ফাটানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।