সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ভ্যাট দেওয়ার বিকল্প নেই। আমরা সবাই ভ্যাট দিতে আগ্রহী। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তনে নিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে রাষ্ট্রের জনগণ। তাই রাষ্ট্রের স্ব-নির্ভরতা অর্জনে আমাদের সকলকে ভ্যাট দিতে এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিটি মেয়র বলেন, জনগণ সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছে বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল ও পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে ৩৫ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ করছে সরকার।
জনগণ ভ্যাট দিয়েছেন বলে বাজেটের আকার বছরের পর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার প্রথম বাজেট ছিল ৭শ’ ৮৬ কোটি টাকা। এই বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে এখন হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
মেয়র আরও বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে বিদেশ গেছেন। ১০ বছর আগে যখন গেছেন তখন আর এখনকার ইমিগ্রেশনে পার্থক্য উপলব্ধি করছেন। এখন ইমিগ্রেশনে হেনস্থা করা হয় না। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে মর্যাদা বেড়েছে। আমাদের ওপর নির্ভর করবে কত দ্রুত দেশ এগিয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বে আইনের প্রয়োগ আছে, সবাই আইন মেনে চলে।
আমাদেরও আইন মানতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংকীর্ণতা পরিহার করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইস, খাগড়াছড়ির ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ও অরণ্য বিলাস, পটিয়ার বনফুল এন্ড কোম্পানি, ষোলশহরের ব্র্যাক আড়ং, সীতাকুণ্ডের চৌধুরী টি ওয়্যার হাউস ও বান্দরবান সদরের হোটেল হিলভিউ রেসিডেন্সিয়াল এবং স্থানীয় পর্যায়ে আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড, কর্ণফুলীর সুপার পেট্রো কেমিক্যাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এন এন্ড এন টি ওয়্যার হাউস, এমএম ইস্পাহানি লিমিটেড ও উত্তরা মোটরস লিমিটেডকে পুরস্কৃত করা হয়। এসময় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার প্রেসিডেন্ট মারগুব আহমেদ, কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, আবুল কালাম কায়কোবাদ, মো. ইকবাল হোসেন, মুক্তাসিম বিল্লাহ ফারুক, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি মাহবুবুর চৌধুরী, ওমেন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা ও বন্ড কমিশনার মাহবুব জামান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল কমিশনারেট, চট্টগ্রামের কমিশনার হোসাইন আহমেদ এবং কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন কাস্টম হাউজ ও চট্টগ্রামের কমিশনার ফখরুল আলম।