আজ ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বীর বাঙালিকে মেধাহীন করার ষড়যন্ত্রের দিন, জাতির শোকের দিন।
আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বরও (রোববার) বাঙালির শোকের দিন। না, জাতীয় কোনো দিবস নয়। তবে একজন সত্যিকারের বীরকে হারানো নিশ্চয়ই শোকের চেয়েও বেশি কিছু।
১৫ ডিসেম্বর চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। একাত্তরের এই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনবারের নির্বাচিত মেয়র।
দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মহান এই নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ষোলশহর চশমাহিলের বাসার চারপাশ ছেয়ে গেছে শোকের ব্যানারে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় দেখা যায়, মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন মেয়র গলি থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় ব্যানার আর ব্যানার।
কেউ শোক জানিয়ে দিয়েছেন বিবৃতি, আবার কেউ তুলে ধরেছেন তাঁর কীর্তি। একজনতো এই চট্টলবীরকে নিয়ে লিখে ফেলেছেন কবিতাও!
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য আসিফ মাহমুদ লিখেছেন- এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধু একটি নাম নয়, একজন মানুষ নয়/এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি স্বপ্ন, একটি সংগ্রাম, একটি ইতিহাস।
জয়শংকর নামে এক যুবলীগ নেতা লিখেছেন, চট্টলার মাটিতে তুমি চির অম্লান/কর্ণফুলীর জল তরঙ্গে প্রতিদিন/বীর মহীউদ্দীন, বীর মহীউদ্দীন।
অন্যজন লিখেছেন- ‘হে চট্টলবীর, তোমার বিদায়ে আজ আমরা এতিম হলাম।’ আবার কারও অভিব্যক্তি ছিল এমন- ‘তোমার অবর্তমানে কে আর অমন করে ভাববে চট্টগ্রাম নিয়ে।’
একজনতো রীতিমতো একটি কবিতায় লিখে ফেললেন ব্যানারজুড়ে। যার শিরোনাম ছিল- ‘হারিয়ে খুঁজে ফিরি প্রিয় নেতা তোমাকে’।
শনিবার চট্টলবীরে চশমাহিলের বাসভবনের সামনে ছিল নেতাকর্মীদের ভিড়। তবে ড্রইংরুমে ছিল নীরবতা।
অনেক কর্মীকে ব্যস্ত দেখা গেল প্রিয় নেতার বাসভবনের আশপাশে পোস্টার ও ব্যানার লাগাতে।
রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনেরও শোকব্যানার দেখা গেল। এসব ব্যানারের কোনোটি রঙিন, আবার কোনোটি সাদাকালো।
প্রসঙ্গত, চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তিনবারের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
জয়নিউজ