সীতাকুণ্ডে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় বিবি আয়েশা লাকি (২১) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সোনাইছড়ির বার আউলিয়া মাজার এলাকার জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে গৃহবধূর পরিবার। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী সেলিম (৩৫) ও ভাসুর জসিম উদ্দিনকে (৫৫) আটক করেছে।
নিহতের নানা মো. নুর আহমেদ বলেন, লাকির স্বামী, ভাসুর ও জা মিলে তাকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, ৪ বছর আগে মৃত নজির আহমেদের ছেলে সেলিমের সঙ্গে বিবি আয়েশা লাকির বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের এক শিশুপুত্র রয়েছে। লাকির মা-বাবা মারা যাওয়ার পর শীতলপুর গামারীতলা এলাকায় নানার বাড়িতে বড় হয় সে। নানা নুর আহম্মদ নাতনী লাকিকে বিয়ে দেয়।
লাকির খালা পারভিন আক্তার বলেন, আমার ভাগনি জামাইয়ের সঙ্গে তার ভাবির পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি বারবার আমাদেরকে জানিয়েছিল লাকি। তার স্বামী সেলিম আগেও একটা বিয়ে করে পরকিয়ার কারণে সে স্ত্রী চলে যায়।
এ ব্যাপারে সেলিম তার ভাবির সঙ্গে পরকিয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, রাতে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়, এরপর সে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আমি রাগ করে অন্যরুমে শুইতে যাই। হঠাৎ মধ্যেরাতে আমার ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছিরকে আমি জানাই। সকাল থেকেই দরজা খুলতে না পেরে তাদের খবর দিই। এরপর তারা এসে দরজার খিল খুলে দেখতে পায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে সে ঝুলে আছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, রুমের দরজা বন্ধ। পরে লাকির শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সামনে ভেতর থেকে লাগানো খিল খন্তা দিয়ে খুলে দেখতে পাই, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। এ ঘটনায় নিহতের নানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাকির স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা হয়েছে।