রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মুশাররফকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত।
২০০৭ সালে সংবিধান লঙ্ঘন দেশে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছিল প্রায় অর্ধযুগ আগে (২০১৩ সালে)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সাবেক পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এই সাজা ঘোষণা করা হয়।
বিশেষ আদালতের এই মামলার শুনানি করেছেন তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল। বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়। ঝুলে ছিল। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ওই বছর মুশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ এই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আদালত সাবেক এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ বিশেষ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেন। বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার সুযোগে ২০১৬ সালের মার্চে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক এই পাক প্রেসিডেন্ট। আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি দেশ ছাড়েন সেই সময়। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি।
জয়নিউজ/পিডি