দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান ও নাগরিক উদ্যোগের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। অর্থনীতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের একটি অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে।
সোমবার(১৬ ডিসেম্বর) সকালে দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিলে তিলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেন চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য। ১৯৪৭ সালেই রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণা দিয়ে বাঙালির ওপর প্রথম আঘাত হানে পাকিস্তানি শাসকরা। এরপর ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে বাংলার বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।
পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়েই স্বাধীকারের চেতনার যে স্ফূরণ ঘটেছিল তা ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালির ওপর। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল তারা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে সেই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। তবে তার আগেই তিনি বাঙালির ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর বার্তা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণায় তিনি বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলে। দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া।
প্রভাষক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসাইন, বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসা গভর্নিং কমিটির সহসভাপতি সাহাবউদ্দিন আহমদ।
এতে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা হারুনুর রশিদ ও রফিকুল ইসলাম।