ভারতের নাগাল্যান্ডের আদিবাসীরা বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষার জন্য বহুদিনের প্রাচীন ঐতিহ্য ছেড়ে দিয়েছেন। তারা এখন আর বন্যপ্রাণী শিকার করেন না।
উত্তর-পূর্বের রাজ্য নাগাল্যান্ডের আনগামি আদিবাসীদের জীবিকার প্রধান উপজীব্য ছিল পশু শিকার। কিন্তু ২০ বছর আগে তারা সেটা একেবারে বন্ধ করে দেন। জীববৈচিত্র্যের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে তারা এটা করেছেন।
শত শত বছর ধরে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম খোনোমার লোকেরা বেশিরভাগ সময় ব্যয় করতেন শিকার করে। তারা পশু শিকার করতেন বংশের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য।
১৯৯৩ সালে একদল আদিবাসী পশু শিকার বন্ধ করার জন্য প্রচারণা চালাতে থাকেন। ট্রাগোপান নামের একটা বিশেষ ধরনের পাখি বিলুপ্ত হতে শুরু করায় তারা এ প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
ওই এলাকাটি ছিল কয়েকশ’ পাখির আবাসস্থল। শিকারের প্রবৃত্তির ফলে বিলুপ্ত হয়ে যায় পাখিটি। এরপর গ্রামের কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২০ স্কয়ার কিলোমিটার ঘিরে রাখা হবে যাতে কেউ বন্যপ্রাণী শিকার করতে না পারে। ১৯৯৮ সালে খোনোমা নেচার কনজারভেশন এলাকা ট্রাগোপানের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। সে বছর কাউন্সিল কোনো প্রকার শিকার, বন জ্বালানো এবং সব ধরনের কমার্শিয়াল অপারেশনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
জয়নিউজ/এডি