সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার গঠন, সেনা মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে জাতীয় ঐক্যের দাবিকে অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে সংগঠনটির ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের এক-দেড়মাস বাকি আছে। এখন মামার বাড়ির আবদার চলবে না। সংসদের শেষ অধিবেশন অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর আর সংসদ বসবে না নির্বাচন পর্যন্ত। এ সংসদ সদস্যদের কোনো ক্ষমতা ও কার্যকারিতা থাকবে না। কাজেই এটা ভেঙে দেওয়ার দরকার কি!
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না, এটা আমরা বলবো না। প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েন হবে। এখন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় নেই, এখানেতো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রাষ্ট্রপতি এ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
যুক্তফ্রন্টের পাঁচ দফা বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে গেছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেখা আমাদের বিষয় না।
বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ কান্নাকাটি পার্টি হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে যুক্তফ্রন্টই বিএনপির বিকল্প কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমরা জানি না। তবে আমরা জানি, বিএনপি না এলেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই এবার নির্বাচিত হবে।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকারই তত্ত্বাবধান করবে এবং নির্বাচন কমিশনই এ নির্বাচন পরিচালনা করবে।
জয়নিউজ/আরসি