মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মা। এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ ওই বখাটে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের এক ঘণ্টা পর পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বিচারপ্রার্থী ওই মাকে। ভাংচুর করা হয়েছে তার ঘরবাড়িও।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব চেচুরিয়া খদুলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মা জেসমিন আক্তার (৩৭) বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দশম শ্রেণির ওই কিশোরীকে গত ২২ আগস্ট ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী বখাটে এনামুল হক প্রকাশ মোহাম্মদ রায়হান। ওই ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন।
এদিকে ওই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হলে বুধবার বিকাল ৫টায় এনামুলকে গ্রেপ্তার করে বাঁশখালী থানার এএসআই সুমন। গ্রেপ্তারের এক ঘণ্টা পর আসামির বাবা নুরুল হক এবং ভাই আমিরুল ইসলাম লাঠিসোঠা ও ধারালো দা নিয়ে জেসমিন আক্তারকে পেটাতে থাকে। এ সময় ভাংচুর করা হয় তাঁর ঘরবাড়ি। পরে প্রতিবেশীরা হামলাকারীদের কবল থেকে জেসমিনকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার এএসআই সুমন কান্তি দে জয়নিউজকে বলেন, নির্যাতিত আসামির মায়ের আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তার বাবা ও ভাইয়ের হামলার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। নির্যাতিত ওই নারীর পরিবার খুবই গরিব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
জয়নিউজ/উজ্জ্বল