পাইপ ফেটে গলগল করে পড়ছে পানি। যদিও কোথায় লিকেজ হয়েছে তা খুঁজতে দুই মাস আগেই রাস্তা কেটেছিল ওয়াসা। কিন্তু দীর্ঘদিনে খুঁজে পাওয়া যায়নি লিকেজ। আবার রাস্তাও পড়ে আছে কাটা অবস্থায়!
রিয়াজউদ্দিন বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী সড়কের নিচ দিয়ে অনেকদিন আগ থেকেই পানি পড়ছে। অভিযোগ দেওয়া হলে ওয়াসার মর্ড ৪ কর্মকর্তারা লিকেজ খুঁজতে তিনটি স্থানে রাস্তা খুঁড়েন। কিন্তু কোথাও লিকেজ খুঁজে পাননি। আর রাস্তাটিও এভাবেই দুই মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে।
গর্ত করে রাখা রাস্তার পাশে নাজমা গার্মেন্টসের ম্যানেজার মো. ইউছুপ জয়নিউজকে বলেন, চার ইঞ্চি পাইপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। ওয়াসার কর্মকর্তারা লিকেজ খুঁজতে গিয়ে রাস্তার তিন জায়গা কেটে ফেলে রেখেছে আড়াই মাস। পানি পড়ার দুর্ভোগের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে রাস্তার দুর্ভোগ।
জানতে চাইলে ওয়াসা মর্ড ৪ সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাক আহমদ জয়নিউজকে বলেন, অনেক চেষ্টার পর এক সপ্তাহ আগে লিকেজ খুঁজে পেয়েছি। পাইপ লাইন মেরামত করতে প্রস্তাব প্রস্তুত করছি। প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাস হলে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই লিকেজ ঠিক হবে।
আবার মর্ড সার্কেল ৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারের রাস্তা কাটার ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমি এখন ঘুমাচ্ছি। এই বলে সন্ধ্যা ৭.৩৯ মিনিটে তিনি ফোন কেটে দেন।
তবে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদুল হক জয়নিউজকে বলেন, দুই মাস পর্যন্ত রিয়াজউদ্দিন বাজারের মতো এলাকায় রাস্তা কেটে রাখা হয়েছে, অথচ আমাকে কেউ কিছু জানাননি। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার নিয়ম আগে থেকেই ছিল। কেন নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর এমন করেছে খবর নিয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, কাণ্ডজ্ঞানহীন কিছু প্রকৌশলীর কারণে ওয়াসার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এটা কিছুতেই মানা যায় না। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত, ক্ষুদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, এখনই পানি বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা মাসের পর মাস লিকেজ বন্ধ না করে লাখ লাখ টাকার পানি নষ্ট করাসহ রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কষ্ট দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিচ্ছি।
জয়নিউজ