নগরের সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া আমিন আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) গোয়েন্দা পুলিশ এমন তথ্য উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন জানান, পতেঙ্গার কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের লাশ উদ্ধারের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা তদন্ত করা হয়। তদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, এটি আত্মহত্যা।
এদিকে তাসফিয়া আমিনের লাশ উদ্ধারের পর থেকে নানা প্রশ্নের উদয় হয় নগরজুড়ে। প্রেমিক আদনান নাকি সিএনজি চালকের হাতে খুন হয়েছে তাসফিয়া– এই প্রশ্নটি ছিল শুরু থেকেই। এ মামলার প্রধান আসামি আদনানকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে। অন্য আসামি ফিরোজদে নেওয়া হয়েছে দুই দফা রিমান্ডে।
এছাড়া তাসফিয়ার হাতে থাকা স্বর্ণের আংটি ও আইফোন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার না হওয়ায় ছিনতাইকারীদের কবলে সে পড়েছে কি–না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। আবার কর্ণফুলী নদীর পাড়ের যেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে তার আশপাশে স্থানীয়রা তাসফিয়াকে একা দেখতে পেয়েছিলেন। তাই সেখানে তিনি কোনো কারণে আত্মহত্যা করেছেন কি–না সে প্রশ্নও ছিল।
তাসফিয়ার সাথে তার পরিবারের সম্পর্ক কেমন ছিল বা তার বাবা–মা’র আচরণে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে নেভাল এলাকায় গিয়ে আত্মহত্যা করেছে কি–না সে প্রশ্নের পিছনেও ছুটেছে পুলিশ। সব প্রশ্নের ইতি টেনে এই মামলার তদন্তে উঠে এসেছে আত্মহত্যাই করেছে তাসফিয়া।
এর আগে ২ মে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা নেভাল সড়কের ১৮ নম্বর ঘাট এলাকায় কর্ণফুলীর নদীর পাড়ে পাথরের উপর উপুড় হয়ে পড়েছিল তাসফিয়ার লাশ। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
তাসফিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বন্ধু আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাসফিয়ার বাবা বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সৈকত মিরাজ, আশিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মো. মোহাইমিন ও মো. ফিরোজ।