দুর্নীতি ও তথ্যচুরির অভিযোগে গতবছর কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল ফেসবুক। ভুল স্বীকার করে ফেসবুকের স্রষ্টা মার্ক জ়াকারবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘‘অনেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবু ভুল হয়েছে। আর হবে না।’’
তবে ২০১৯ সালেও এ অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ বছর ফাঁস হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী এবং ৪১ কোটি ৯০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য।
বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শেষলগ্নেও আশঙ্কা, আরও ২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য দীর্ঘদিন নিরাপত্তাহীনভাবে পড়েছিল, তা-ও চুরি হয়ে থাকতে পারে।
সম্প্রতি একটি অনলাইন রিপোর্টে এসেছে এসব তথ্য।
প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন সংস্থা ‘কমপ্যারিটেক’ ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডায়াচেঙ্কোর দেওয়া তদন্ত-রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ থাকা সত্ত্বেও ২৬ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ইউজ়ার আইডি, নাম, ফোন নম্বর নিরাপত্তাহীনভাবে পড়েছিল দীর্ঘদিন। তা ফাঁস হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে চুরি যাওয়া তথ্যগুলি যেকারো হাতে চলে যেতে পারে। কোনো পাসওয়ার্ড লাগবে না, কোনো প্রমাণ লাগবে না, অবাধে অপরাধ হবে।
রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, চুরির ওই তথ্য ব্যবহার করে এসএমএস বা ই-মেইলে জালিয়াতি শুরু হতে পারে।
তবে এর জন্য এখনই ফেসবুককে কাঠগড়ায় তুলছেন না ডায়াচেঙ্কো। তাঁর কথায়, ফেসবুকের অব্যবস্থা, নাকি ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাবিধি ঠিকমতো মেনে না চলায় (প্রোফাইল পাবলিক করে রেখে) এই বিপত্তি, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
এদিকে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অন্তর্তদন্ত করে দেখছে। একটি মার্কিন টিভি চ্যানেলকে বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, ‘‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখছি। তবে আমাদের বিশ্বাস গত কয়েক বছরে যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তার আগেই ওই তথ্য চুরি হয়েছে।’’
জয়নিউজ