নগরের চান্দগাঁও পুরাতন থানায় এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম আধুনিক কসাইখানা (স্লটার হাউজ)। এ জায়গা হন্তান্তর বিষয়ে শিগগির চসিকের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) টাইগারপাস চসিক ভবনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে তিন সদস্যের বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ তথ্য জানা যায়।
এ সময় চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেশন ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী স্লটার হাউজ’র সুযোগ সুবিধা সম্বলিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
এ তথ্যচিত্রে দেখা যায় এ স্লটার হাউজে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুবিধা, আইসোলেশন সুবিধা ,স্মাট স্টকিং স্পেস, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও রক্ত থেকে ব্লাড মিল তৈরি ইত্যাদি রয়েছে।
এ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় আরো থাকছে পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন, জবাই এরিয়া, একদিনে জবাই করা যাবে ১০০ পশু। অপেক্ষায় রাখা যাবে ৩০০ পশু।
নগরের চান্দগাঁও পুরাতন থানা এলাকায় করপোরেশনের ৮৮ শতক জায়গার উপর এই কসাইখানা নির্মিত হবে। এই অত্যাধুনিক কসাইখানা (স্লটার হাউজ) নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইসতিয়াক সোবহান, সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আখতারুজ্জমান ও চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেশন ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ভুসম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এখলাছ উদ্দিন আহমদ এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক প্রমুখ।