পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে এক জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষে ১১৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন বেসামরিক মানুষ, ৭ সেনা ও ৮০ জন জঙ্গি বলে জানা গেছে।
গত পাঁচ বছর ধরে যে সহিংসতা চলছে তার মধ্যে মঙ্গলবারের (২৪ ডিসেম্বর) হামলাটিকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের একটি সামরিক ঘাঁটি ও সইম প্রদেশের আরবিন্দা শহরে জঙ্গিরা দুটি হামলা চালালে সাত সেনা নিহত হয়েছেন। পরে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা চালালে ৮০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
আফ্রিকার অপর দুই দেশ মালি ও নাইজারের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়ো বুরকিনা ফাসোতে নিয়মিত হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়মিত এই হামলায় দেশটির শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই বছর দেশটির সাহেল অঞ্চলের গোটাটা জুরে সহিংসতা ও সশস্ত্র হামলার শুরু হয়।
দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আরবিন্দার সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে একটা বড় সশস্ত্র দল নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।’ মালি সীমান্তের কাছে আরবিন্দা শহরের ওই হামলা ও সেনাপ্রতিরোধ বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল বলে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রক মার্ক কাবোরে হামলা নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের বীরোচিত পদক্ষেপের কারণে ৮০ সন্ত্রাসীকে ব্যর্থ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই বর্বর হামলার কারণে ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিককে প্রাণ দিতে হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
ইতোমধ্যে জিহাদিদের হামলা-সহিংসতার কারণে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির মানুষ।
জয়নিউজ/পিডি