প্রকৃতি সেজেছে তার আপন মহিমায়। শীতের শিশিরভেজা সকালে রাঙামাটি পাহাড়িকন্যা ‘বসন্ত মোন’ (পাংখুয়াপাড়া) যেন পর্যটকদের ডাকছে।
প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য দিয়ে সাজিয়েছে বসন্ত মোন। সকালে শীতের কুয়াশায় সবুজ পাহাড়ের উপর থেকে মেঘরাশি উড়ে যায় যেন বিশ্রাম শেষে। আবার ঘুরে ঘুরে সেই কুয়াশার মেঘরাশিই পাহাড়কে ভিজিয়ে দেয়।
পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন অস্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় তখন এর রূপ মন মেখে দিয়ে যায়। পাহাড়, কাপ্তাই হ্রদ- চারপাশে চোখ যতদূর যায়, মন তত ছুটে যেতে ইচ্ছে করে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার মধ্যে অন্যান্য উপজেলার তুলানায় জুরাছড়ির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। সুতরাং পর্যটকরা এখানে নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারবেন। দু’দিনেই সম্ভব প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশে যাওয়া।
যেভাবে আসবেন
রাঙামাটি থেকে এখানে আসার একমাত্র পথ নৌপথ। শহরের রিজার্ভ বাজার থেকে সকাল সাড়ে ৭টা ও দুপুর দেড়টায় লঞ্চ পাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৮০ টাকা। আড়াই ঘণ্টা কাপ্তাই লেকের প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন উপজেলা সদরে। ছোট বোট রিজার্ভ করেও এখানে আসা যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া গুণতে হতে পারে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এসব বোট রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাটে পাওয়া যাবে।
দ্রুত আসতে চাইলে স্প্রিড বোট নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাত্র ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন উপজেলায়। প্রতিদিন সকাল ৮টায় শিল্পকলা ঘাট হতে এটি ছেড়ে আসে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০০ টাকা। সেক্ষেত্রে স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পিটম চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন (০১৫৫৩০০৮৮০১/০১৫৩৩২৯৮১৪৯)।
আবাসিক ব্যবস্থা
যদিও উপজেলায় কোনো আবাসিক হোটেল নেই তবে রাতযাপনের জন্য পর্যটকদের কোনো চিন্তা করতে হয় না। এখানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি বিশ্রামাগার রয়েছে, সেখানে রাতযাপন করা যায়। তবে প্রায়সময় বুকিং থাকে বিশ্রামাগারের রুমগুলো। তাই আসার আগে বুকিং দিতে হয়। বুকিং দিতে যোগাযোগ করতে পারেন চয়ন কান্তি চাকমার সঙ্গে (০১৫৫৭২২৭৪০১)।
যেভাবে যাবেন বসন্ত মোন
সকালে সাড়ে ৮টায় বনযোগীছড়া থেকে হেঁটে বসন্ত মোন রওয়ানা দিতে পারেন। যদি হাঁটতে ইচ্ছে না করে মোটরবাইক দিয়েও যেতে পারেন। তবে প্রকৃতি উপভোগ করতে হেঁটে যাওয়াই উত্তম। তবে সঙ্গে করে পানি ও হালকা কিছু খাবার নিতে ভুলবেন না।