ডিসেম্বরে মাঝামাঝি থেকে শৈত্যপ্রবাহ বেড়েছে নগরে। ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের নিয়মিত আনাগোনায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর বাড়ে শীতের তীব্রতা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হলেও শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বন্দরনগরীতে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। হঠাৎ এমন বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন নগরবাসীর জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’।
অসময়ে বৃষ্টির আগমন অপ্রত্যাশিত থাকায় স্বাভাবিকভাবে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। এছাড়া নগরের অলিগলি থেকে শুরু করে সবখানে খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তার উপর যে মাটি-ধুলোর স্তর ছিল তা এখন পরিণত হয়েছে ঘন কাদায়। তাই যানে চড়ে বা হেঁটে যে খুব দ্রুত বৃষ্টির থেকে পালিয়ে বাঁচবেন তারও জো নেই।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় রাস্তায় তেমন কোনো যানজট নেই, লোকজনও কম। তবে যাদের আজকে বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান মাথায় ছিল তা নিশ্চিতভাবেই পণ্ড হয়েছে এটা বলা যায়। আর এ বৃষ্টিতে রাস্তার হকার অথবা ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ যেন বর্ণনাতীত।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে. অসময়ে এমন বৃষ্টির আগমন দিনের তাপমাত্রা আরো কমিয়ে আনবে। প্রকৃতিতে আরো জেঁকে বসবে শীত।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির এই প্রবণতা শুক্রবার সারাদিনই দেখা যাবে। রাত ৯টা-১০টার পর বৃষ্টি বন্ধ হতে পারে, এতে রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা নেমে যেতে পারে।
সম্প্রতি শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিরাজমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সর্বোচ্চ ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে; এ সময় ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের কোথাও কোথাও শনিবারও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
জয়নিউজ/পিডি