রাউজানে পুলিশের ডিউটি করতে রাজি না হওয়ায় অটোরিকশা চালক মো. রফিককে (৫৫) ধাওয়া দেয় পুলিশ। তাৎক্ষণিক সে অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। পরে খড়ের মধ্য থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাউজান জলিলনগর বাস স্টেশনে এসআই কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেয়। পরে চালককে পুলিশের সঙ্গে ডিউটি করতে বলেন। এসময় গাড়িতে যাত্রী থাকায় অপরাগতা প্রকাশ করেন চালক রফিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পুলিশ।
পুলিশের কথা অমান্য করে চালক গাড়ি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশও চালক রফিককে পেছন থেকে ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়ার মুখে রফিক পূর্ব রাউজান রশিদপাড়া এলাকায় বকসী চৌধুরীর বাড়ির পাশে অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ অটোরিকশাটি পেছন থেকে গিয়ে আটক করে। এসময় অটোরিকশাতে থাকা যাত্রী নুরুল আলম মিয়াকে মারধর করে গাড়িটি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এদিকে চালক রফিকের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হয়। নুর আলম মিয়ার ঘরের পেছেনে শুকনা খড়ের মধ্য থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিককে মৃত ঘোষণা করে। রফিকের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসুদন নাথ জয়নিউজকে বলেন, রাতেই জলিলনগর বাস স্টেশনে পুলিশ রফিকের অটোরিকশা থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। রফিক পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া করে অটোরিকশাটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রফিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।